আমাদের দেশ এই সময়ে আমে যে পোকা আক্রমন করে । পোকাটির নাম ফল ছিদ্রকারী বা আম আমের পুঁচকে বা স্থানীয় নাম ভোমরা পোকা। এই পোকা সারা দেশে আমের ক্ষতি করে। একবার এই পোকা গাছে দেখা দিলে সেই পোকাটি আবার একই গাছে আক্রমণ করার সম্ভাবনা থাকে। আসুন আমের ফল ছিদ্রকারী শনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণ করি:-
আমের বাইরের চামড়া দেখলে মনে হয় ভেতরে কোনো পোকা নেই, কিন্তু আম পাকার পর কাটলে পোকা বেরিয়ে আসে। পোকা একবার ভিতরে ঢুকলে আর নিয়ন্ত্রণের উপায় থাকে না। আশ্চর্যের বিষয়, আমের গর্ত নেই। এত বড় পোকা কীভাবে আমের ভেতরে ঢুকে টিকে থাকতে পারে তা সত্যিই অবাক করার মতো।
পোকামাকড় সনাক্ত করার উপায়:
1. আম ফলের মাথায় একটি গর্ত দেখা যায়।
2. পোকার মুখে লম্বা আঁশ দেখা যায়, এটি কালো রঙের।
3. পোকামাকড় বিটল এবং শক্ত প্রকৃতির।
আমের ফল ছিদ্রকারী পোকা হতে পারে বিভিন্ন ধরণের কীট, সবচেয়ে সাধারণভাবে হলুদ পোকা ( ফলের মাছি )। এই পোকাগুলি ফলের ছিদ্রকারী আকারের সাথে নকশার মতো ছোট ছিদ্র করে দেয়। এই ছিদ্রগুলি পোকাগুলির বাচ্চাদের বাড়ি এবং খাদ্যে ঢুকতে সাহায্য করে।
ফলের ছিদ্রকারী পোকাদের নিয়ে নিম্নলিখিত কয়েকটি ধাপ নিতে পারেন:
সংগ্রহ পরিচর্যা: ফলের ছিদ্রকারী পোকাদের বিরুদ্ধে সংগ্রহের সময় সতর্ক থাকা উচিত। নির্ধারিত অংশে পোকা-আক্রান্ত ফল পৃথক করা এবং তা নষ্ট করা উচিত।
শার্টপানি প্রযুক্তি: এটি একটি প্রকৃতিক উপায় যা ব্যবহার করে ছিদ্রকারী পোকাদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এটের মাধ্যমে ফলের আবহাওয়ায় সামগ্রিক আপাতত সেই পোকাগুলির বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয় যা পোকাদের আগ্রহ অনুসারে ফলের মধ্যে ঢুকে।
প্রাকৃতিক দমন পদ্ধতি: ফলে ছিদ্রকারী পোকা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলি, যেমন ফলে পোকার স্বাভাবিক শত্রুপক্ষের মধ্যে মাটির ছাড়াতে দেওয়া।
কীটনাশক ব্যবহার: সর্বশেষ পদ্ধতি হিসাবে, যদি ফলের ছিদ্রকারী পোকা অত্যন্ত বাড়তে যায় এবং প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলি ফলের সংরক্ষণ না করে, তবে কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে, এটি সর্বশেষ পদ্ধতি হিসাবে ব্যবহৃত হয়, কারণ এটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
রাসায়নিক ব্যবস্থাপনা:
আমের এফিড নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মুকুল আসার আগেই ব্যবস্থা নিতে হবে। পোকা দমনের জন্য ফেনিট্রোথিয়ন টাইপ জেনেফেন-জেনেটিকা কীটনাশক ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ দিন পর পর ভালোভাবে ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে। ওষুধ স্প্রে করার সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
প্রাক-প্রস্তুতি:
নিয়মিত চাষের মাধ্যমে আমের বাগানকে আগাছামুক্ত ও পরিষ্কার রাখতে হবে।
জৈব ব্যবস্থাপনা:
1. প্রাথমিক পর্যায়ে আক্রান্ত ফল মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।
2. আগাছা মুক্ত, এবং বাগান পরিষ্কার রাখতে হবে।
3. সুষম সার পরিমিত পরিমাণে দিতে হবে।
4. নিয়মিত সেচ দিতে হবে।
এই সব পদক্ষেপের সাথে, সাধারণভাবে কৃষকরা বিশেষভাবে বীজে অধিক দ্বিতীয় এবং সুনিষ্ক্রিয় পরিস্কারতা ব্যবহার করে এবং পোকার নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রকৃতির সাথে সম্পর্ক সুস্থ রাখা উচিত। যদিও প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ গুলি উল্লেখ করা হয়েছে, কারণ এগুলি সাধারণভাবে প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সম্পূর্ণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য ফলের ছিদ্রকারী পোকাগুলি চেনা এবং তা নিয়ন্ত্রণের জন্য স্থানীয় কৃষি বিজ্ঞানীদের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।