এখন আগ্রীষ্মকালীন ফল আম, লিচু, কাঠাল, জাম খাবারের একটি মসুম। তাই আপনি চাইলে আম , লিচু, কাঁঠাল খাবার পর তার বীজ/আঁটি/বিচি/দানা/বীজগুলোকে ফেলে নষ্ট না করে । ভালো করে পানিতে ধুয়ে , শুকিয়ে একটি পাত্রে রেখে দিন যদি কখনো কখনো দূরে কথায় গাড়ি চালাতে চালাতে যান বা বসে ভ্রমণ এর উদেশে যান সেই বীজগুলো অবশ্যয় ভ্রমণ এর ইস্থানে রোডের পাসে ফাকা জমি দেকে ছিটে ফেলে দিন । সামনে আসছে বর্ষার মৌসুমে সেই বীজ থেকে ছোট্ট ছোট্ট চারাগাছ জন্ম নেবে। যদি আপনাদের দেওয়া বিচি/বীজ মধ্যে একটা গাছও বেঁচে থাকে তবে সেটাই হবে এই পৃথিবীকে আপনার দেওয়া সবথেকে বড় মূল্যবান উপহার।
সকল ফল গাছ শুধু পরিবেশকে অক্সিজেন দিয়ে সতেজই রাখেনা, বরঞ্চ ফল দেয় সেই ফল খাবার লোভে অনেক অতিতি পাখি আসে গাছে গাছে। যার ফলে পরিবেশে হারিয়ে যাওয়া ভারসাম্য রক্ষা হয়।পৃথিবীর নানা দেশই এই নিয়মে গাছ লাগিয়ে পরিবেশ বাঁচানোর কাজে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাছে ।
তাই আসুন আমরাও নিজের সাধ্য মতো চেষ্টা করি এই প্রকৃতিকে ভালো রাখার জন্য , আসুন গাছ লাগাই, পরিবেশ বাচাই ।আমাদের নিজের পুকুরগুলোকে পরিস্কার রাখি, বনদপ্তর – গভর্নমেন্টের উপর সব দায় না চাপিয়ে নিজেরা সচেতন হই, প্রকৃতিকে ভালোবাসার প্রতি ।
আমার এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের অবস্থা যেন বিভিন্ন ফল গাছ দিয়ে আলোকিত পরিবেশ গোরে তুলতে পারি ।আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেছেন, ‘মক্কা এবং মদীনার মাঝে অবস্থিত একটি বৃক্ষের নিকটযখন তিনি আসতেন তখন তার শুয়ে বিশ্রাম করতে হবে। তিনি বলতে পারেন রাসুল (সা.) এরূপ করতো ।
গাছ-বৃক্ষ প্রকৃতিও পরিবেশের বন্ধু। তাই নির্বিচারে গাছ না গণতান্ত্রিক বৃক্ষরোপকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করি। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন ।