আমলকিতে পুণ্যের শেষ নেই ফল ও পাতা দুটোই ঔষধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফলটি সারা বছরই পাওয়া যায়। আমলকিতে পেয়ারার চেয়ে 3 গুণ বেশি, লেবুর চেয়ে 10 গুণ বেশি, কমলার চেয়ে 20 গুণ বেশি, আমের চেয়ে 24 গুণ বেশি, কলার চেয়ে 60 গুণ বেশি এবং আপেলের চেয়ে 120 গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে।আমলকির রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলস সারাতে পারে। এটি পেট খারাপ এবং বদহজম প্রতিরোধেও সাহায্য করে।আমলকির রস দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চোখের প্রদাহ প্রতিরোধ করে। চুলকানি বা চোখের জল থেকে মুক্তি দেয়। চোখ সুস্থ রাখতে আমলকি উপকারী। এতে ফাইটো-কেমিক্যাল রয়েছে যা চোখের সাথে সম্পর্কিত অবক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে।এক গ্লাস দুধ বা পানিতে আমলকি গুঁড়া ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দুবার খান। এটি অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে।অর্ধেক গুঁড়ো শুকনো ফল এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে খেলে হজমের সমস্যা সেরে যাবে। খাবারের সঙ্গে আমলকির আচার হজমে সাহায্য করে।আমলকির রস মধুর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেতে পারেন। এটি ত্বকের কালো দাগ দূর করবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে।আমলকি হেয়ার টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের যত্নে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি শুধু চুলের গোড়াই মজবুত করে না, চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এটি খুশকি নিরাময় করে এবং পাকা চুল প্রতিরোধ করে।প্রতিদিন আমলকির রস খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয় । আমলকি টক এবং তিক্ত স্বাদ এবং মুখের স্বাদ আছে। স্বাদ ও ক্ষুধা বাড়াতে খাওয়ার আগে আমলকির গুঁড়ো সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খেতে পারেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়। কাশি, বমি, অনিদ্রা, ব্যথার জন্য আমলকি খুবই উপকারী। আমলার রস ব্রঙ্কাইটিস এবং হাঁপানির জন্য ভালো।
এটি হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস ও মস্তিষ্ককে শক্তিশালী করে। আমলকির আচার বা মোরব্বা মস্তিষ্ক ও হৃৎপিণ্ডের দুর্বলতা দূর করে। শরীরের অবাঞ্ছিত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কম রাখে।
আমলকির কিছু উপকারিতাঃ
আমলকি আমাদের শরীরের জন্য অন্যতম উপকারী ভেষজ। আপনি প্রতিদিন এটি খেতে পারেন এবং এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। বরং এর দারুণ উপকারিতা রয়েছে।
ভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়ার পরিবর্তে প্রতিদিন একটি করে আমলকি খান। বা আমলকির আচার। আমলকির জাম খেতে পারেন বা রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন আমলকির গুঁড়া। এই ছোট্ট আমলকি আপনার শরীরের জন্য চমৎকার কাজ করবে। কিভাবে জানতে চান? আসুন জেনে নিই প্রতিদিন একটি আমলকি খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।
১) আমলকি হেয়ার টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের যত্নে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি শুধু চুলের গোড়াই মজবুত করে না, চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
২) এটি চুলের খুশকির সমস্যা দূর করে এবং পাকা চুল প্রতিরোধ করে।
৩) আমলকির রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা সমাধান করতে পারে। এটি পেট খারাপ এবং বদহজম প্রতিরোধেও সাহায্য করে থাকে ।
৪) এক গ্লাস দুধ বা পানিতে আমলকি গুঁড়া ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দুবার খেতে পারেন। এটি অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে সাহায্য করবে।
৫) এক গ্লাস জলে আধা চূর্ণ ড্রাই ফ্রুট ভিজিয়ে খেলে হজমের সমস্যা সেরে যাবে। খাবারের সঙ্গে আমলকির আচার হজমে সাহায্য করে।
৬) আমলকির রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেতে পারেন। এটি ত্বকের কালো দাগ দূর করবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে।
৭) আমলকির রস দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চোখের প্রদাহ প্রতিরোধ করে। চুলকানি বা চোখের জল থেকে মুক্তি দেয়।
৮) আমলকি চোখ সুস্থ রাখতে উপকারী। এতে ফাইটো-কেমিক্যাল রয়েছে যা চোখের সাথে সম্পর্কিত অবক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে।
৯) এছাড়াও, প্রতিদিন আমলকির রস খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং দাঁত মজবুত থাকে।
১০) আমলকির টক ও তেতো স্বাদ মুখের রুচি ও রুচি বাড়ায়। আমলকি পাউডারের সাথে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেয়ে নিন রুচি ও ক্ষুধা বাড়াতে।
১১) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শারিক চাপ কমায়।
১২) কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথায় আমলকি খুবই উপকারী একটি ফল।
১৩) আমাদের দেহে আমলকির রস ব্রঙ্কাইটিস এবং হাঁপানির জন্য খুবই উপকারী।
১৪) শরীর ঠান্ডা রাখে, শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়ায় বা বিধি পায় , পেশী শক্তিশালী করে।
১৫) এটি হৃদয়, ফুসফুস এবং মস্তিষ্ককে শক্তিশালী করে। আমলকির আচার বা মোরব্বা মস্তিষ্ক ও হার্টের দুর্বলতা দূর করে।
১৬) শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় চর্বি ঝরাতে সাহায্য করে।
১৭) শরিলে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে দাঁত ও নখ সুস্থ রাখে।
১৮) এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। বার্ধক্য এবং কোষের অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ ফ্রি র্যাডিক্যাল।
১৯) সর্দি-কাশি, পেটব্যথা এবং রক্তশূন্যতা দূর করতে খুব ভালো কাজ করে।
২০) রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কম রাখতেও উল্লেখযোগ্যভাবে সাহায্য করে।
উপসংহার: আমলকির পুষ্টিগুণ অনেক রোগ থেকে আমাদের রক্ষা করে। আমলকি নানাভাবে খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়। এর রস, জাম, আচার বা কাঁচা খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আয়ুর্বেদেও আমলকিকে উপকারী বলে মনে করা হয়। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও বিপাক ক্রিয়া বাড়াতে কাজ করে। ঠাণ্ডা, কফ ছাড়াও শরীরে ভাইরাল ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধ করে আমলকি ।