আমাদের দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল। মরিচ নিভৃত্য মশলা যাকারিকে সুস্বাদু করতে ভুমিকাত। বাংলাদেরশের সব অঞ্চলে মরিচের প্রায় চাষবাদ করা হয়। তবে চরঅঞ্চালে মরিচের চাষ সবথেকে বেশি হয় ।
আমাদের দেশ অনেক জেলায় বাণিজ্যিকভাবে মরিচ চাষ করা হয়। মরির বাজার মূল্যও অনেক। মরিচ চাষের মাধ্যমে আমরা নারী/পুরুষের স্ত্রী কর্মসংস্থানের সংস্থান নিজেরাই করি। তার জন্য মরিচ চাষের মন্দ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে।
মাটি ও জলবায়ু :
মরিচ চাষের জন্য এমন জমি নির্বাচন করতে হবে যে জমিতে পানি জমে থাকে না এবং বর্ষায় পানি মারাতে না হয়। জমিতে পানি নিষ্কাশনের সু-ব্যবস্থা করতে হবে। যেকুলকল রোদ ও বাতাসের ব্যবস্থা আছে মরিচ চাষের জন্য সেই জায়গায় নির্বাচন করতে হবে।
যে মাটিতে বেশি অম্ল আছে সে মাটি ছাড়া সব ধরনের মাটিতে মরিচ জন্মায়। মরিচ চাষের জন্য দো-আশঁ মাটি সব থেকে উপী এবং বোঝায় ৩৫ থেকে ৪ ডিঃসেঃ।
পরিচিতি :
সাধারণত মরিচকে দু ভাগে ভাগ করা যায়, যেমন- ঝাল মরিচ ও তথ্য মরিচ। শাহ ঝাল মরিচের ব্যবহার বেশি। ঝাল মরিচের পছন্দের জাতগুলোর মধ্যে নাগা মরিচ, বগুড়া মরিচ, বিজলি মরিচ, চাঁদপুরী, ফরিদপুরীসহ ইত্যাদি রয়েছে।
এছাড়াও আঞ্চলিক মৌসুমি জাতক-কামরাংগা, আকালী, কালো মরিচ, জিয়া মরিচ ইত্যাদি। আঞ্চলিকভাবে আরো কিছু জাত রয়েছে, যেমন- মেজর, যমুনা, বালিঝুরা মরিচ, শাহ মরিচ, বোম্বাই মরিচ, ধানী মরিচ, পাটনাই, গোলাপ মরিচ, বারি জাতীর ৩টি।
মরিচের বীজতলা তৈরি :
মরীচের বীজ জমিতে বপন করা যায়, যার জন্য বীজতলা তৈরি করতে হয়। বীজতলা তৈরির জন্য আদর্শ মাপাপাতা ৩ মিটার লম্বা ও ১ মিটার চওড়া। তবে বীজতলায় চারার সংখ্যার ওপরে মাপ কম বেশি হতে পারে।
গ্রীসম বালিকা বীজতলার উচ্চতা ১৫ সেঃমি এর বেশি নয় এবং শীতল বীজতলার জন্য ৭-৮ মিঃ হতে হবে। জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থার জন্য গ্রীস্ম বালিকা বীজতলার উচ্চতা বেশি থাকে।
বীজ শোধন :
বীজতে বা বীজতলায় বীজ বপ আগে মরিচের বীজ শোধন করতে হবে। বীজধন করে নিলে চারা রোগ বালাই কম হয়। প্রোভেক্স জাতীয় ছত্রাকনাশক দিয়ে বীজ শোধ করতে হয়।
নীরোগ চারা বল্টারের জন্য বীজ বপনের আগে প্রতি কেজির বীজের সাথে ২ গ্রাম প্রোভেক্স-২০০ দ্বারা ৩০ মিনিট ভিজিয়ে তারপর ১০-১৫ মিনিট ছায়া যোগ করতে শুকিয়ে যেতে হবে।
মরীচের বীজ বপণ পদ্ধতি :
১২ ঘন্টা পানি জলজিয়ে পর পর বীজ থেকে পানি ঝরিয়ে ছায়াতে শুকিয়ে ঝরা করে বীজতলায় ঝরিয়ে দিতে হবে। বীজ বপ করার উপযুক্ত সময়: বর্ষা মৌসুমের জন্য মার্চ-এপ্রিল মাস এবং রবি মৌসুমের জন্য অক্টোবর-নভেম্বর মাস।
খবর মরিচ রবি মৌসুমেই ভালে জন্মে আর ঝাল মরিচ শুরু স্বাভাবিকই জন্মে থাকে। মরি বপ করার সময় মনে রাখতে হবে- বীজ ঠিক একইভাবে ১-১.৫। মরিচের বীজ বর্ধন ১৫-২০ সে.মি. পর পর গাছের পাতলা করতে হবে।
মরিচের চারা তৈরি ও রোপন:
বীজতলায় যখন ১০ সে: মি: লম্বা হয় তখন চারা মুলতে রোপ উপযোগী হয়। মরিক্ষেতের আগাছা পরিষ্কারের পরে ৩-৪ টি প্রস্তুত করে এবং মিই জমি দিয়ে চারা রোপন করতে হয়।
সারির দূরত্ব ৬০-৭০ সে.মি. আর চারা থেকে চারার দূরত্ব ৩০-৪০ সে.মি. রাখতে হবে । মরিচের চারা বিকালে লাগানো উচিৎ এবং ৩-৪ দিন সকাল-সন্ধ্যা জল দিতে হবে।
মরিচ গাছে সার প্রয়োগ :
মরিচ চাষে সার প্রয়োগের সময়কে ভাগ করে ভাগ করা যায়। একটা চারা লাগানোর আগে এবং অন্য চারা লাগানোর পরে। এডিজিশনিক পদ্ধতির উল্লেখ করা হয়েছে।
মরিচের চারা লাগানো ২০-২৫ দিন পূর্বে গোরবসার মাটির সাথে লড়াই করতে হবে। জমিতে প্রতি হেক্টরে গোবর ১০টন, ইউরিয়া ২৫০ কেজি, টিএসপি ২০০ কেজি এবং এমওপি সার ১৫০ কেজি প্রয়োগ করতে হবে।
সার্ভার তৈরির সময় টিএসপি, গোবর এবং এমওপি সার ৫০ কেজি প্রয়োগ করা হয়। মরিচের চারা রোপনের ২৫ দিন পর ৮৫ কেজি ইউরিয়া ৩৫ কেজি এমওপি সার প্রথম উপরি প্রয়োগ করতে হবে। চারা লাগান ৫০ পর দ্বিতীয় দিন পর তৃতীয় বার সার্মাজ করতে হবে।
মরিচ গাছের পরিচর্যা ও সেচ :
চারা লাগানোর পরে জল জলের সেচ নিয়ন্ত্রণ চারা বিকল্প সতেজ হয়। গ্রীষ্ম কালে রাজ্যে ৪-৫ দিন পর এবং শীতকাল ১০-১২ দিন পর সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। ক্ষেতের মাটির রস আমাদের মানুষের সেচের ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রতিবার অনুরোধের পরে সেচ প্রয়োজন। সেচের কয়েকদিন পর মাটিতে চটা ধরেছে। মাটি চটা ভেঙ্গে দিতে হয় যাতে শিকড় স্বাভাবিক বাতাস পায় এবং গাছ দ্রুত বাড়াতে পায়। সময়মত নি দিয়ে আগাছা পরিষ্কার ও মাটির ঝুরঝুরা করা হয়েছে মরিচ গাছের পরিচর্যা সবথেকে এগিয়ে।
মরীচ গাছের রোগ-বালাই ও প্রতিকার :
সাধারণত, মাটি ও বীজের মধ্যে বিভিন্ন রকমের জীবাণু মরিচের রোগের জন্য অনেকটা অংশ। ডায়ালে ড্যাম্পিং অফ, গোড়া পচা, মূল রোগ। এ রোগগুলো সচারচর চারা অবস্থায় থাকতে হয়।
উপরোক্ত রোগগুলি পিথিয়াম ও রাইজোটোনিয়া নামক ছত্রাকের মাধ্যমে উত্তেজনা হয়। বীজতলায় বীজ বপ পরপর বীজ প্যাচযেতে পারে অথবা চারা গজানোর পর চারা গাছ ফ্যাকাশে, আবার লিকলিকে হতে পারে। ছোট চারার গোড়ায় পানিজা দাভে পড়ে ও চারা ঢলে পড়ে মারা যায়। এ রোগ থেকে চিকিৎসার উপায়: মরীচের বীজ শোধন করা।
মেরিচের ক্ষেতে মাইট ও থ্রিপসে আক্রমণ দেখা যায়। প্রতিকারের জন্য ম্যালাথিয়ন/ মেটাসটক্স প্রতি লিটার পানির সাথে ২ গ্রাম গ্রাম স্প্রেতে সকলকে পোকা দমন করা যায়।
মরিচ গাছে এ্যানথ্যাকনোজ রোগের প্রভাবের দেখা পরিবর্তন টিল্ট নামক ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানির সাথে ২ গ্রাম গ্রাম ১৫ দিন পর ২ থেকে ৩ বার স্প্রে করতে হবে। সাদা মাছি রোগের রোগ বিস্তারে সহায়তা করে, সাদা মাহি দামন ডায়াজিন লিটার পানির সাথে ৩ গ্রাম প্রতি গ্রাম স্প্রে করতে হয়।
ফসল সংগ্রহ :
মরিচ গাছে ফুল ফরোয়ার্ডের পর ১৫-২০ দিরে মধ্যে কৌতুক মরিচ আসে৷ তবে মরিচের রং লাল হলে লেখাটি রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে। হেক্টর প্রতি কামালমারিচের ফলন ১০-১১ টন হতে পারে এবং শুকনো মরিচ ১.৫-২.০ টন হতে পারে।
বীজটা
চাষী গণ খুব মরিচ বীজ পরিবর্তন করতে পারে। বীজ পাত্রের মরিচের সময় থাকতে হবে- যে জাতেররিচ চাষ করবেন তার চারপাশে অংশ ১৩০০ ফুটের মধ্যে অন্য জাতের মরিচের গাছের বাগান না থাকে।
মরিচ যখন পুষ্ট, পরিপাক্ক, এবং উজ্জ্বল লাল রংয়ের তখন বীজ সংগ্রহ করতে হবে। একটি মরীচ থেকে ৭০ থেকে ৭৫টি বীজ পাওয়া যায়। ১০০০টি বীজের পরিমাণ হয় প্রায় ৫ গ্রাম, একের প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ কেজি বীজ বিন্যাস করা সম্ভব।
বীজ সংরক্ষণ:
ফসল তুলার পরে, মরীচে চিরে বীজ বের করতে হবে। বীজ শুক পাত্র করার পর পরিস্থিতি তৈরি করে নিরদ বীজ সংরক্ষণ করতে হবে। যেমন প্লাকের কৌটা অথবা কাচের পাত্র ইত্যাদি।
একজন কৃষক যদি সঠিকভাবে মধুর উপায়ে মরিচ চাষ পদ্ধতি অনুসরণ করে, তাহলে বিকল্প লাভবান হতে পারে।