ছাদে সাধারণ ফুলের গাছই বেশি চাষ করা হয়। শীতকালে টবে লাগানো চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়াদের বৃদ্ধি ভালো হয়। এছাড়াও স্নাপড্রাগন,ক্যালেন্ডুলা,গাঁদা, স্যালভিয়া প্রভৃতি মরসুমী ফুল শীতকালে টবে ভালো হয়। পিটুনিয়া,ভারবেনা প্রভৃতি ফুল ছোট টবে ভালো হয়। বর্ষার সময় দোপাটি,জিনিয়া প্রভৃতি ছাদের শোভা বৃদ্ধি করে।
দীর্ঘস্থায়ী রঙিন ও সুগন্ধী ফুল গাছ:-
গোলাপ, মল্লিকা, বেলী, জবা, গন্ধরাজ প্রভৃতি ফুলের গাছ ছাদে অনায়াসেই লাগানো যায়। জবা ফুল অনেক রকম জাতের হয়। এই গাছগুলো সঠিক ভাবে ছাঁটাই করতে হয়। এতে গাছ ঝাঁপড়া হয় এবং বছরের অনেক ফুল পাওয়া যায়। মাটিতে লাগানো গাছের চেয়ে টেবে লাগানো গাছের পরিচর্যা করা খুব সহজ। রঙিন ফুল টবে ভালো হয়।
টবে লাগানো কন্দ বা মূল জাতীয় গাছ:-
রজনীগন্ধা,গ্লোরিওসা,ডালিয়া ও কয়েক প্রকার লিলি প্রজাতির ফুল গাছ সহজেই ছাদে লাগানো যায়। টবে রজনীগন্ধা ও ডালিয়া খুব সহজেই ফোটানো যায়। ডালিয়া ফুটলে বাতাস ও রোদ থেকে বাঁচাতে ছায়া আচ্ছাদান দিতে হবে। ডালিয়া ও রজনীগন্ধাতে প্রয়োজনে জৈব বা রাসায়নিক সার দিতে হবে।
টবে পাতাবাহার গাছ লাগান:-
মরসুম এর শেষে ফুল যখন শেষের পথে তখন পাতাবাহার গাছ লাগান। পাতাবাহার বিভিন্ন রকম প্রজাতির হয়। তার মধ্যেও বেছে নিতে হবে যেগুলি টবে ভালো হয়। এদের মধ্যে আরোকেরিয়া, বাগান বিনাশ বা ডাইফেন বেকিয়া প্রভৃতি ছাদ-বাগানে টবে ভালো হয়। এইসব গাছ রোদযুক্ত স্থানে লাগাতে হবে।
টবে লতানো ফুল গাছ লাগান:-
ছদে লতানো ফুল গাছ লাগানো খুব সহজ এবং দেখতেও খুব সুন্দর লাগে। ছাদের ওপর লতানো ফুল গাছের মধ্যে মালতু, শেফালী, ঝুমকোলতা, বোগেনভেলিয়া প্রভৃতি গাছ ছাদের উপর বড় টবে বা কংক্রিটের চোব্বাচ্চায় লাগানো যায়। বোগেনভেলিয়া গাছকে ৬-৭ ফুট উচ্চতার মধ্যেই রাখলে ভালো হয়। প্রতি বর্ষার আগে ছাঁটাই করতে হবে।
টবে ঝোলানো ফুল গাছ লাগান:-
টবে ঝোলানো সকল গাছ দেখতে খুবই সুন্দর লাগে।চেনের মধ্যমে বা ক্ষমতাযুক্ত শক্ত আংটার মাধ্যমে ঝোলাতে হয়। সঠিক ও নিরাপদ স্থানে টব ঝোলানো ভালো। যাতে নিচে জল না পড়ে এবং জায়গাটিতে পিচ্ছিল না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অন্য টবের গাছের মতোই এর পরিচর্যা করতে হবে।