কাঁচা আমের ভর্তা

বৈশাখ মাসে বাজারে উঠতে শুরু করেছে কাঁচা আম। আর কাঁচা আমের সুস্বাদু ভর্তার কথা শুনলে জিভে জল আসে না এমন মানুষ বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কাঁচা আম দেখলেই সবার সুস্বাদু ভর্তার কথা মনে পরে ! কাঁচা আম লবণ, মরিচের গুঁড়ো দিয়ে মাখিয়ে খাওয়ার অনোক স্বাদ ও টেস্ট।কাঁচা আমের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে।যা পাকা আম স্বাদে মিষ্টি হওয়ায় ডায়াবেটিসের রোগীসহ অনেকের ক্ষেত্রে খাওয়া নিষেধ।

তবে কাঁচা আমের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ বা মানুষের দীর্ঘ মেয়াদী ব্যাধি থেকেও মুক্তি দেয় এই কাঁচা অনেকেই বিভিন্নভাবে খেয়ে থাকেন। কেউ আচার তৈরি করে খান আবার কেউ কাঁচা আমের পাতুরি, ইত্যাদি ব্যবহার করে খেয়ে থাকেন। কাঁচা আমের জুসও কিন্তু শরীরের জন্য অনেক উপকারী।বে যা-ই হোক কাঁচা আমের টক-ঝাল ভর্তা খেতে সবাই পছন্দ করে থাকেন। বিশেষ করে গরমের দুপুরে কাঁচা আমের ভর্তা খেলে মুহূর্তেই আপনার শরীর ঠান্ডা হয়ে যাবে। চলুন তবে জেনে নিন কীভাবে তৈরি করে কাঁচা আমের ভর্তা-
কাঁচা আমের ভর্তা তৈরি করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে:

  1. উপকরণ: প্রথমে আমগুলি ধুয়ে পরিষ্কার করুন এবং ছিলে আলুর মত ছোট টুকরো করে নিন।
  2. একটি মিক্সিং আমের টুকরো, কাচা লঙ্কা, ধনেপাতা, কাচা পেঁয়াজ, কাঁচা কাঁচা আম, সরিষার তেল, নুন এবং কাঁচামরিচ বা মরিচ দিয়ে সবগুলি উপকরণ একসাথে মিশিয়ে নিন।
  3. মিশ্রণটি একটি বাটিতে বা গাবলাতে ভালো করে মাখিয়ে নিন এবং টেস্ট করে আপনার সাদ নিজেই পরিবেশন করুন।

উপসংহার:

এই ভর্তা গরম সময়ে মজার এবং মধুর স্বাদ দেয়। কাঁচা আমের ভর্তা দুপুরে রোদের সমাই খাতে ভালো লাগে।আপনি চাইলে কাঁচা আম ব্যবহার করে এই ভর্তা তৈরি করে নিন এবং স্বাদ বাড়াতে চাইলে কাঁচা লঙ্কা বা কাচা মরিচ বাড়াতে পারেন।


এখন একটা পাত্রে সুন্দর করে পরিবেশন করে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম। অসাধারণ লেগেছিল আসলে ভর্তাটা খেতে আর এই গরমের মধ্যে যেকোনো ধরনের ভর্তা ই খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে এই গরমে শরীরের পানির সল্পতা দেখা দেয় আর এ ধরনের ভর্তা খেলে প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া যায়। অনেকটা এক দিলে দুই পাখির মত।তো বন্ধুরা আজ আমার এই সহজ এবং সুস্বাদু পুষ্টিকর আমের ভর্তা রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে। কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন এবং সময় সুযোগ হলে বাসায় তৈরি করে পরিবার পরিজন নিয়ে খাবেন।সামান্য একটা কিছু দিও পরিবারের সবার মন জয় করা যায় ।আমি মনে করি এই আমের ভর্তাটা দিয়েও পরিবারের সজন দের অনেক মন আপনি রক্ষা করতে পারবেন।

তাহলে আজ এ পর্যন্তই থাক ।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। বেশি বেশি করে তরল জাতীয় খাবার খাবেন। অপ্রয়োজনে রোদের মধ্যে যাবেন না। ছাতা ব্যবহার করুন,গরমে বেশি করে পানি বা কাঁচা আমের ভর্তা খান ।

ধন্যবাদ

শেয়ার করুনঃ