বর্ষাকালে মরিচ চাষ করা বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, তবে কিছু সঠিক পদক্ষেপ নিলে এটি সফলভাবে করা সম্ভব ।বর্ষাকালে মরিচ চাষ সফলভাবে করতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন। এই মৌসুমে আবহাওয়া ও মাটির সঠিক যত্ন নেওয়া হলে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব। নিচে বর্ষাকালে মরিচ চাষের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হলো বর্ষাকালীন মরিচ চাষ আমাদের দেশে অর্থকারী একটি ফসল। বাংলাদেশে একটি অগ্রসর মশলা যা দেশগুলির অর্থ তৈরি করে। অর্থনৈতিকও গোলমরিচের চাহিদা মিটাই । বর্ষাকালীন মরিচ চাষ একটি লাভ জনক।
বর্ষা মরিচ চাষের প্রযুক্তিঃবর্ষা কালের আবহাওয়া মরিচ চাষের জন্য উপযোগী।বৃষ্টিপাত মাটিকে আর্দ্রতা, যা মরিচের বৃদ্ধির জন্য ভাল। বর্ষাকাল রোগের প্রকোপ কম থাকে।
মরিচ চাষের উপযুক্ত জায়গাঃ দোআঁশ ও বেলে-দোআঁশ মাটি মরিচ চাষের জন্য উপযুক্ত। মাটির pH স্তর ৬-৬.৫ হতে হবে।মাটিকে ভালোভাবে চাষ দিয়ে ঝুরঝুরে করতে হবে। মাটিতে জৈব সার (কম্পোস্ট) প্রয়োগ করলে ফলন ভালো হয়। ভালো জমি মরিচ চাষের জন্য ভালো। পরিবেশ পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো হতে হবে। জমিতে পানি জমে মরিচের ক্ষতি হয়।
বর্ষাকাল মরিচ চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করাঃ ভালোভাবে চাষ করতে হবে। জমিতে সার বা কম্পাস সার প্রয়োগ করতে হবে। সাধারনভাবে ।
বর্ষা মরিচ চাষের জন্য বীজ নির্বাচনঃ উচ্চ ফলনশীল জাত নির্বাচন করতে হবে। বীজের মান অবশ্যই ভালো হতে হবে। বীজ ভালোভাবে রোদে শুকাতে হবে। মরিচের জাত: বিভিন্ন জাতের মরিচ চাষ করা হয়। এর মধ্যে, জন্মগত ভাল জাতগুলি হল:বারি মরিচ-১ বারি মরিচ-২ বারি মরিচ-৩ বারি মরিচ-৪ বারি মরিচ-৫ মরিচের ফলন: মরিচ ফলন বেশ ভাল। প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় মরিচের ফলন ৭-৮ টন।
বর্ষাকাল মরিচ চাষের জন্য বীজ বপন করা আমাদের অবশ্যই মরিচ চাষের জন্য বর্ষাকালের বীজ করার চেষ্টা করতে হবে। বিশেষ করে বর্ষাকাল কালে, একটি আর্দ্র বীজ বপন করার জন্য আমাদের মনে রাখা উচিত। বছর মরিচ চাষের জন্য চারা রোপণ বীজ থেকে অঙ্কুরোদগমের ৩০-৩৫ দিন পর চারা রোপণ করতে হবে। রোপ সময় চারাগুলো মনে করে বাছাই করতে হবে। রোপ পর চারাকে ভালোভাবে পানি দিতে হবে।
বর্ষাকাল মরিচ চাষের যত্নঃ মরিচ গাছের চারপাশে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।মাঝে নদীর পানি দিতে হবে।সার প্রয়োগ করতে হবে। রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
মরিচ চাষে পোকামাকড় ও রোগ দমনঃ মরীচ গাছে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় এবং রোগের আক্রমণ হতে পারে। এর মধ্যে সংখ্যা এর মধে হলঃ ফলর,পিপার বিটল,থ্রিপস পোকা,জাব পোকা ইত্যাদি। মরিচের গোড়া পচা রোগ,মরিচ পাতা কুঁচকানো রোগ,মরিচলসানো রোগ,মরিচের পাতার দাগ রোগ।
কীটপতঙ্গ ও রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য এএন ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
সঠিক জাত নির্বাচন: রোগ ও পোকামাকড় বন্ধী জাত নির্বাচন পোকামাকড় ও রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করা যায়।পরিবেশ চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার রাখলে পোকামাড় রোগের আক্রমণ সম্ভব।ধাপে ধাপে ধাপে ধাপে পোকা বা রোগের আক্রমণের কোনো সম্ভাবনা দেখাক তাৎক্ষণ ব্যবস্থা নিতে হবে।জৈবিক বা রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ: পোকামাকড় ও রোগের আক্রমণ বেশি হলে জৈবিক বা রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিতে হবে।
আগাছা নিয়ন্ত্রণ:
আগাছা পোকামাকড় এবং রোগের সমাধান। তাই জমি আগাছা নিয়ন্ত্রণে পোকামাকড় ও রোগের আক্রমণ হয়।ঝোপঝাড় সাদা মাছি থেকে চেষ্টা করতে হবে।ফুল ফোটার সময় গাছের গোড়ায় পানি বন্ধ করতে হবে যাতে ফল পোকার আক্রমণ প্রতিরোধ করা হয়।থ্রিপসের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পাতায় পানিতে দিতে হবে।
রাসায়নিক প্রকিয়া :
পোকামাকড় এবং কীটপতঙ্গের উপদ্রব বেশি হলে রাসায়নিক কীটনাশক বা ছত্রাকনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে:
পোকা নিয়ন্ত্রণ: ম্যালাথিয়ন, কার্বেন্ডাজিম, সেভিন, ওমাইট ইত্যাদি।
রোগ নিয়ন্ত্রণঃ মানকোজেব, কার্ অক্সিক্লোরাইড, সালফার ইত্যাদি।
কীটপতঙ্গ এবং রোগ নিয়ন্ত্রণের সময় এ বিষয়গুলি লক্ষ্য করা উচিত:
কীটনাশক বা ছত্রাকনাশক ব্যবহার করার আগে, উচ্চারণের নির্দেশিকাগুলিকে সতর্ক করতে হবে।
কীটনাশক বা ছত্রাকনাশক ব্যবহার করার সময় নিরাপত্তা পরিধান করা উচিত।
কীটনাশক বা ছত্রাকনাশক প্রয়োগের পরে, ক্ষতটি জল দিয়ে ভালভাবে পরীক্ষা করতে হবে।
মরিচ চাষে কীটপতঙ্গ ও রোগ নিয়ন্ত্রণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই পোকামাড় ও রোগের পোকামাক দেখা সম্ভব তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া।
মরিচ চাষে রোগের বিস্তারিত আলোচনাঃ
মরিচ একটি গুরুত্বপূর্ণ মসলা ফসল। রাজনৈতিক মরিচ চাষের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মরিচ চাষে রোগবালাই একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। মরিচের রোগের বিকল্পগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল:মূল পচা রোগ: এই রোগটি ছত্রাকের কারণে হয়। রোগের হল গাছের শিকড় ও বাদামী হওয়া এবং নরম হওয়া। গাছটি শীর্ষস্থান মরে যায়।ফুল ও ফল ঝরা রোগ: এই রোগটি ছত্রাকের কারণে হয়। ফুল ও ফল ঝরা রোগের প্রভাব।পাতা মোড়ানো রোগ: এই রোগটি ছত্রাক দ্বারা হয়। রোগের হল পাতা কুঁচকে যোগ করা এবং হলুদ হওয়া।
লিফ ব্লাইট রোগ: এই রোগটি ছত্রাক দ্বারা হয়। রোগ হল পাতায় বাদামী দাগ।
ফলপচা রোগ: এই রোগটি ছত্রাকের কারণে হয়। এরইরোগ হল ফল পাচা।
মরিচ চাষে রোগ নিয়ন্ত্রণ করাঃ
মরিচ চাষে রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন অবলম্বন করা যেতে পারে: প্লান্ট ও সবল চারা রোপন করতে।সুষ্ঠুভাবে চাষ করা এবং নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা।অতিরিক্ত সেচ না।আগাছা দমন।জমি থেকে পচা ফল ও পাতা অপসারণ।সঠিক হারে সার প্রয়োগ করা।দ্রুত দেখা ব্যবস্থা নিন।রাসায়নিক কীটনাশক রোগের চিকিৎসা গ্রহণ করা হয়মূল পচা রোগের জন্য:কাপ্রাভিট, ব্যাভিস্টিন, মনকোজেব, ট্রাইকোডার্মাফুল ও ফল ঝরা রোগের জন্য: মনকোজেব, ট্রাইকোডার্মাপাতা মোড়ানো রোগের জন্য: ক্লোরোট্রিফাই, মানকোজেব, ট্রাইকোডার্মা।পাতা ঝাপসা রোগের জন্য।