🌿 জৈব সার তৈরি, ব্যবহার ও উপকারিতা
বর্তমান কৃষিকাজে জৈব সার ব্যবহার একটি পরিবেশবান্ধব ও লাভজনক পদ্ধতি। এটি মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং ফসলের গুণগত মান বাড়ায়।
🛠️ জৈব সার কী?
জৈব সার হলো এমন একটি সার যা উদ্ভিদ, পশু বা প্রাকৃতিক বর্জ্য থেকে তৈরি হয়। এতে রাসায়নিক উপাদান না থাকায় এটি মাটি ও পরিবেশের জন্য নিরাপদ।
🥬 কিভাবে জৈব সার তৈরি করবেন?

নিম্নোক্ত উপকরণগুলো ব্যবহার করে ঘরে বা মাঠেই জৈব সার তৈরি করা যায়:
- গোবর
- পচা শাকসবজি ও ফলমূল
- পানের ছালা, ধানের খোসা
- শুকনো গাছপালা ও পাতাবাহার
- মাটি, ছাই ও পানি
তৈরির ধাপ:
- একটি গর্ত বা ড্রাম তৈরি করুন।
- তাতে পর্যায়ক্রমে শুকনো ও ভেজা বর্জ্য দিন।
- প্রতিদিন বা দুই দিনে একবার করে নেড়ে দিন।
- ৪-৬ সপ্তাহ পর সার প্রস্তুত হয়ে যাবে।

🌾 জৈব সার ব্যবহারের পদ্ধতি
- চাষের আগে জমিতে মিশিয়ে দেওয়া
- চারা রোপণের সময় গর্তে দেওয়া
- ফসল বৃদ্ধির সময় উপরি সার হিসেবে প্রয়োগ
✅ জৈব সারের উপকারিতা
- মাটির উর্বরতা ও কাঠামো বৃদ্ধি করে
- জলধারণ ক্ষমতা বাড়ায়
- উদ্ভিদ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- পরিবেশ দূষণ কমায়
- খরচ কম ও দীর্ঘমেয়াদী ফল
💡 টিপস: গৃহস্থালি বর্জ্য ব্যবহার করে নিয়মিত জৈব সার তৈরি করলে কৃষিতে রাসায়নিক সারের উপর নির্ভরতা কমে।
🎯 উপসংহার
জৈব সার ব্যবহার করলে শুধু ফলনই বাড়ে না, বরং ভবিষ্যতের জন্য টেকসই ও নিরাপদ কৃষির পথও তৈরি হয়। চলুন, আমরা সবাই মিলে জৈব সারে ফিরে যাই এবং মাটি ও পরিবেশকে সুস্থ রাখি।