জমিতে কোন সার কতটা ব্যবহার করা উচিত?
সারের সঠিক ব্যবহার গাছের সুস্বাস্থ্য, অধিক ফলন এবং মাটির টেকসই উর্বরতা বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত বা কম সার প্রয়োগ উল্টো ক্ষতিকর হতে পারে। তাই সঠিক মাত্রায়, সঠিক সময়ে এবং সঠিক উপায়ে সার প্রয়োগ করতে হবে।
সার প্রয়োগ নির্ভর করে:
- মাটির ধরন (বালুমাটি, দোআঁশ, এঁটেল)
- ফসলের জাত
- জমির আগের ব্যবহার
- মৌসুম
- মাটির পিএইচ ও পুষ্টি পরীক্ষা রিপোর্ট
প্রধান সার ও পরিমাণ (প্রতি বিঘা হিসেবে গড়পড়তা):
সার | ধান | সবজি | গম |
---|---|---|---|
ইউরিয়া | ৩০–৪০ কেজি | ২৫–৩০ কেজি | ৩৫–৪৫ কেজি |
টিএসপি | ১৫–২০ কেজি | ২০–২৫ কেজি | ২০–৩০ কেজি |
এমওপি | ১৫–২০ কেজি | ২০–২৫ কেজি | ১৫–২৫ কেজি |
জৈব সার | ৩০০–৫০০ কেজি | ৫০০–৭০০ কেজি | ৩৫০–৫৫০ কেজি |
বি.দ্র.: এটি একটি সাধারণ নির্দেশনা, মাটির পরীক্ষার ভিত্তিতে পরিমাণ ঠিক করতে হবে।
সার প্রয়োগের সময়:
- জমি তৈরির সময় কিছু সার মাটিতে মিশিয়ে দিতে হয় (বেসাল ডোজ)
- বাকি ইউরিয়া গাছ বড় হলে ভাগ করে প্রয়োগ করা হয় (টপ ড্রেসিং)
প্রয়োগ পদ্ধতি:
- সারকে গর্তে বা লাইনে প্রয়োগ করলে অপচয় কম হয়
- ছিটিয়ে সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে সমানভাবে দিতে হয়
- ইউরিয়া প্রয়োগের পর হালকা সেচ দিলে ভালো হয়
মাটি পরীক্ষার গুরুত্ব:
মাটির পিএইচ ও পুষ্টি বিশ্লেষণ করলে জানা যায় কোন পুষ্টি উপাদান কম বা বেশি আছে। সেই অনুযায়ী সার প্রয়োগ করলে মাটি সুস্থ ও ফসল স্বাস্থ্যবান থাকে।