চিয়া সিড

চিয়া সিড হজম শক্তি বাড়ায়, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, এবং শরীরকে ফাইবার, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দিয়ে পুষ্ট করে।

Original price was: 550.00 ৳ .Current price is: 500.00 ৳ .

ফোনে অর্ডার করতে কল করুন

01790466216

চিয়া সিডের অনেক গুনাগুন রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এর কিছু প্রধান গুনাগুন নিচে তুলে ধরা হলো:

ফাইবারের উৎস

  • চিয়া সিড ফাইবারে সমৃদ্ধ, যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড

  • চিয়া সিডে উচ্চমাত্রায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা হৃদয় ভালো রাখে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

প্রোটিনের উৎস

  • এটি একটি ভালো উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উৎস, যা মাংস বা মাছের প্রোটিনের বিকল্প হিসেবে কার্যকর।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট

  • চিয়া সিডে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরকে ফ্রি র‍্যাডিকেলস থেকে রক্ষা করে এবং বার্ধক্যের লক্ষণ কমায়।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

  • চিয়া সিড পানিতে ভিজিয়ে খেলে এটি গেল তৈরি করে, যা পেট ভরতি রাখে এবং ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে।

হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্যে

  • এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা হাড় ও দাঁত শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।

হৃদরোগ প্রতিরোধ

  • চিয়া সিডে থাকা ফাইবার, ওমেগা-৩, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।

রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ

  • ফাইবার এবং প্রোটিনের সমন্বয় রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।

হজম ক্ষমতা বাড়ায়

  • ফাইবারের কারণে এটি হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কার্যকর।

সহজে খাবারে মেশানো যায়

  • চিয়া সিড সহজেই বিভিন্ন ধরনের খাবারের সাথে মেশানো যায়, যেমন স্মুদি, সালাদ, দই, বা পানীয়।

চিয়া সিড একটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ খাবার যা স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য খুবই কার্যকর।

চিয়া সিড ব্যবহারের নিয়ম

চিয়া সিড ব্যবহারের নিয়ম বেশ সহজ এবং এটি বিভিন্নভাবে খাবারের সাথে মেশানো যায়। কিছু জনপ্রিয় ব্যবহারের পদ্ধতি নিম্নে দেওয়া হলো:

পানিতে ভিজিয়ে খাওয়া

  • চিয়া সিড প্রায় ১০-২০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখলে এটি গেল (জেলি) আকার ধারণ করে। এই গেল-জাতীয় অবস্থায় এটি খাওয়া অনেক উপকারী। আপনি ১-২ টেবিল চামচ চিয়া সিড ১ কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। এরপর সেটি সরাসরি খেতে পারেন বা অন্য কোনো পানীয় বা খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।

স্মুদি বা জুসে মিশিয়ে

  • চিয়া সিড আপনার স্মুদি বা জুসে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এটি পানীয়কে আরও পুষ্টিকর করে তোলে এবং একটি ঘনত্ব প্রদান করে। স্মুদি বা জুস তৈরির সময় ১-২ চা চামচ চিয়া সিড মিশিয়ে নিন।

ওটমিলে মিশিয়ে

  • ওটমিল বা দুধের সাথে চিয়া সিড মেশানো একটি ভালো পদ্ধতি। আপনি আপনার প্রাতঃরাশের ওটমিল, কর্নফ্লেক্স বা সিরিয়ালের সাথে ১-২ চা চামচ চিয়া সিড মিশিয়ে খেতে পারেন।

দই বা সালাদে মিশিয়ে

  • চিয়া সিড সরাসরি দই বা সালাদের উপরে ছড়িয়ে দিয়ে খেতে পারেন। এটি খাবারকে আরো পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু করে তোলে।

বেকিং এ ব্যবহৃত

  • চিয়া সিড বেকিং করার সময় ব্রেড, কেক, কুকিজ ইত্যাদির মিশ্রণে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি বেকড খাবারের পুষ্টিগুণ বাড়ায় এবং ফাইবার যোগ করে।

চিয়া সিড পুডিং তৈরি

  • চিয়া সিড পুডিং তৈরি করতে, ১/৪ কাপ চিয়া সিড ১ কাপ দুধ বা নারকেল দুধের সাথে মিশিয়ে রাতে রেখে দিন। এটি সকালে ঘন হয়ে পুডিং এর মত হবে। এর সাথে মধু, ফল বা বাদাম যোগ করে খেতে পারেন।

পানির সাথে সেবন

  • চিয়া সিড কিছু মানুষ সরাসরি পানির সাথে মিশিয়ে পান করে থাকে। এতে পানি সেবনের সময় আরো পুষ্টি যোগ হয়।

দৈনিক পরিমাণ

  • দৈনিক ১-২ টেবিল চামচ (প্রায় ১৫-২৫ গ্রাম) চিয়া সিড খাওয়া যথেষ্ট। এর বেশি খেলে অতিরিক্ত ফাইবারের কারণে কিছু মানুষ হজমে সমস্যা অনুভব করতে পারে।

এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে আপনি চিয়া সিড আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সহজেই যোগ করতে পারেন এবং এর সকল পুষ্টিগুণের সুবিধা পেতে পারেন।